জান্নাতির জামিন
আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
দীর্ঘ আট মাস পর অবশেষে মুক্তি পেলেন তরুণ নারী উদ্যোক্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী জান্নাতি হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনায় সহযাত্রী ও ব্যবসায়িক অংশীদারের মৃত্যুর পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল ।
এ সংক্রান্ত একটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাকে স্থায়ী জামিন দেন।
আদালতে জান্নাতির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাসেত মজুমদার।
এর আগে নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে আসেন জান্নাতির আইনজীবীরা। হাইকোর্টের দুই বেঞ্চ ওই আবেদনের শুনানি করে তাদের ফিরিয়ে দেন। পরে এক বেঞ্চ শুনানি করে রুল দিলেও রুল শুনানির সময় ওই বেঞ্চের এক বিচারক বিব্রত বোধ করেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের করা জামিন স্থগিতের আবেদনে গত সোমবার চেম্বার জজ বিচারপতি মো. ইমান আলী ‘নো অর্ডার’ দেওয়ার ফলে জান্নাতির জামিনে মুক্তিতে আর বাধা ছিল না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১১ জুলাই মধ্যরাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেটের দিকে যাওয়ার সময় শাহীনবাগ এলাকায় একটি প্রাইভেটকার পুলিশের একটি পিকআপকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে কারটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং নিহত হন এর আরোহী কে এম মোস্তামসি আশরাফ শুভ্র।
গাড়িটি তখন চালাচ্ছিলেন তারই বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার অটোমোবাইল ম্যাগাজিন ‘টর্ক’ এর সম্পাদক ও তরুণ উদ্যোক্তা জান্নাতি হোসেন। এর প্রেক্ষিতে তেজগাঁও থানার এসআই সর্দার নিজামুল হক পরদিন জান্নাতির বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে মামলা করেন।
পরে নিহতের চাচা হান্নান খান নিম্ন আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলাটি তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার সঙ্গে একীভূত করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/কানিজ